প্রকাশিত: Tue, Dec 27, 2022 4:30 PM
আপডেট: Wed, Jul 2, 2025 2:35 AM

এই গৌরব বাংলাদেশের, এই অর্জনের কারিগর শেখ হাসিনা

অজয় দাশগুপ্ত, সিডনি; অস্ট্রেলিয়া থেকে 

বাংলাদেশের মুকুটে আরও একটি জয়ের পালক যোগ হচ্ছে। যারা মনে করেন দেশের সবকিছু খারাপ। সরকার খারাপ। নেতা খারাপ। কঠোর এই সমালোচকেরা এবারও কি চোখ বন্ধ করে থাকবেন? ধীরে ধীরে সরকারের কাজগুলোর সুফল পাচ্ছে দেশবাসী। এই যে মেট্রোরেল, এই কাজটি যুগান্তকারী বললেও কম বলা হবে। অভাবনীয় এই সাফল্য আর অগ্রযাত্রা সম্ভব হচ্ছে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের কারণে। সব সমালোচনা উড়িয়ে দিয়ে একা না চললে মেট্রোরেল কোনোদিনও সম্ভবপর হতো না। কতো নাটক, কতো ঘটনা, কতো বেদনা, কতো ত্যাগ-তিতিক্ষাÑ এরপর চালু হতে যাচ্ছে আধুনিক প্রযুক্তির মেট্রোরেল। 

বুধবার ২৮ ডিসেম্বর হবে নিঃসন্দেহে একটি গৌরবের দিন। স্বাধীন যে বাংলাদেশে আমরা ফিরে এসেছিলাম তার যোগাযোগ ব্যবস্থা ছিলো পুরোটাই ভঙ্গুর। যশোর থেকে ঢাকা আসার পথে ছিলো অসংখ্য ভাঙা সেতু আর ধসে পড়া সড়ক। তারপর কতো পানি গড়ালো কত সরকার এলো গেলো ঢাকা-চট্টগ্রাম, খুলনা, সিলেটসহ ছোট-বড় সব নগরী পড়েছিলো তীব্র যানজটে। 

এখন সে বাস্তবতা বিলীন হওয়ার পথে। আওয়ামী লীগের সরকার পরপর কয়েক দফায় দেশ শাসনে থাকার কারণে বহুবিধ উন্নতির মুখ দেখছে দেশ। যদি কাউকে প্রশ্ন করা হয়, সবচেয়ে বেশি উন্নয়ন কোথায় হয়েছে? একবাক্যে বলতে হবে, যোগাযোগ মাধ্যমে যে পরিবর্তন ও উন্নয়ন তা তুলনা রহিত। এর সর্বশেষ নজির মেট্রোরেল। ঢাকার মানুষ কলকাতা গিয়ে এমন পাতাল রেল দেখে অবাক হন! সে বিস্ময় এখন অতীত। মাথার ওপর দিয়ে ছুটে চলা মেট্রোরেলের গতিপথ যতোটুকু হোকÑ এর গর্ব আকাশচুম্বী। 

সবচেয়ে বড় বিষয় এই দেশ পাক-হানাদার মুক্ত করে বাঙালিকে স্বাধীন রাষ্ট্র দেওয়ার মুক্তিদূত বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাই হবেন এর প্রথম যাত্রী। সবুজ পতাকা উড়িয়ে আগামীকাল তিনি গার্ডের দায়িত্ব পালন করবেন। সে সবুজ পতাকায় স্বাক্ষরও রেখে যাবেন তিনি। বিধ্বংসীবিরোধী রাজনীতি ও সরকারের দোষ ধরায় ব্যস্ত সুশীল-কুশীলেরা মুখে যাই বলুক না কেন, ক’দিন পর তারা সবাই টিকেট কেটে মেট্রোরেল চড়ে মনের সাধ মেটাবেন। এই গৌরব শেখ হাসিনার, এই গৌরব দেশ ও জনগণের। এই জয়যাত্রায় সামিল হওয়া দেশ বিদেশের বাঙালি শির উঁচু করে বলে, শাবাশ বাংলাদেশ তুমি এক বিস্ময়। লেখক ও কলামিস্ট